নিজস্ব প্রতিনিধি: যশোরের মনিরামপুর উপজেলা খেদাপাড়া ইউনিয়নের জালালপুরে, জালালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমানত আলীর বহিষ্কারের দাবিতে, গত ৭ই মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে, খেদাপাড়া টু মনিরামপুর সড়কে প্রধান শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে অভিভাবকদের দাবি, জালালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমানত আলি দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলে প্রভাব খাটিয়ে ব্যাপক আকারে দুর্নীতি ও আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন। সম্প্রতি গত পহেলা মার্চ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মাতৃবন্ধনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে আসেন যশোর পাঁচ মণিরামপুর আসনের সংসদ সদস্য এস এম ইয়াকুব আলী, এসময় এলাকাবাসীরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার কাছে অভিযোগ দায়ের করেন এরপর থেকেই নানা মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন প্রধান শিক্ষক এবং এলাকাবাসীদের নানাভাবে ভয় ভিতি দেখান তারই পরিপ্রেক্ষিতে এলাকাবাসী ও মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন সারা মনিরামপুর উপজেলাতে প্রতিটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুসজ্জিত বিল্ডিং থাকলেও আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এই জ্বরার্জিন্য বিল্ডিং এ ক্লাস করান,প্রতিষ্ঠানে নেই কোন শৌচাগার যার ফলে শিক্ষার্থীদের পার্শ্ববর্তী বাড়িতে যাওয়া লাগে তার প্রয়োজনীয় কাজ স্বার্থে আমরা অচিরেই দাবি করি প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন হক, এবং দ্রুত একটি পরিচ্ছন্ন শৌচাগার তৈরি হোক। মানববন্ধনটিতে প্রায় শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত স্থানীয় এক অভিভাবক বলেন, প্রতি বছরের ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে বিভিন্ন খাতে নেওয়া টাকার কোনো হিসাব নেই, নিয়োগ বানিজ্যের লক্ষ লক্ষ টাকারও কোন হিসাব নেই, আবার তিনি নিজের ভাগ্নী স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে তারই স্কুলের শিক্ষকের বিবাহ দেন। যার খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। এদিকে স্কুলে বাথরুম নেই, প্রায় দিন তার প্রথম স্ত্রীর সাথে শিক্ষার্থীদের সামনেই ঝগড়া করেন এবং গালাগালিও করেন, প্রতিনিয়ত স্কুলের শিক্ষার্থীদের সামনে বসে ধূমপান করেন,ঠিকঠাক ভাবে স্কুলে থাকেন না বাজারে বসে নিয়মিত আড্ডা দেন।

মানববন্ধনের বিষয় জালালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমানত আলী জানান, আমার বিরুদ্ধে যে মানববন্ধনটি হয়েছে ও মানববন্ধনে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে সব কিছু বানোয়াট কিছু কুচক্রী মহল আমাকে হেও প্রতিপন্ন করতে উঠে পড়ে লেগেছে।এবং এখানে নিয়োগের বিষয়ে যে দুর্নীতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে আমি কোন নিয়োগ প্রদান করি নাই এনটিআরসি কর্তৃক চারজন শিক্ষককে সরকারিভাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। যে বিষয়ে কোন আর্থিক লেনদেন সংঘটিত হয়নি।